এইসব ঘোড়াদের নিওলিথ-স্তব্ধতার জ্যোৎস্নাকে ছুঁয়ে

এইসব ঘোড়াদের নিওলিথ-স্তব্ধতার জ্যোৎস্নাকে ছুঁয়ে

কলকাতা শহর। বাংলা ভাষার এক তরুণ কবির তখন দারুণ রমরমা। কবিতা লেখার জন্যও অগ্রিম নেন। রবিঠাকুর জীবিত তখনো, তবু ঠাকুরের চেয়ে বেশি বিক্রি হয় তাঁর কবিতা। যে দৈনিকে কবিতা ছাপা হয়, বিকেলে তা রিপ্রিন্ট করতে হয়। এতো তার কাটতি। স্বয়ং সুভাষ বোসের নেতৃত্বে কফি হাউজে রাষ্ট্রীয়ভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হয় ২৫ বছর বয়সী তরুণ কবিকে।

ঠিক একই সময়ে, ঠিক একই শহরে, ঠিক একই বয়সের আরেকজন কবি তখন নিভৃতে হেঁটে বেড়ান শহরের ধূলোমাখা পথ। টুকরো কাগজে কবিতা লিখে পত্রিকা অফিসে ঘোরেন, কিন্তু কাটতি নেই। জনপ্রিয়তার তো প্রশ্নই আসে না। নিজের অধিকাংশ লেখাই ট্রাঙ্কে লুকিয়ে রাখেন। খুব বেশি মানুষ হয়তো ভাবেননি সেই নিভৃত লোকটি আজকের জীবনানন্দ দাশ হয়ে উঠবেন।

জীবনানন্দ কি তখন একটু হলেও ঈর্ষা করতেন কাজী নজরুলকে? সমবয়সী দুই কবির বন্ধুত্ব হলে কেমন হতো?

সেই সময়কার কলকাতা শহরটা আমাকে খুব আকর্ষণ করে। সময়-যন্ত্র তৈরি হলে আমি সেই সময়কার কলকাতা শহরটায় কিছুদিন থেকে আসতে চাইতাম। কী জেল্লা ছিলো রে বাবা! এক শহরে রবিঠাকুর, নজরুল, জীবনানন্দ! কিছুদিন পর তো বুদ্ধদেব বসুও ঠাঁই নেবেন! অন্যদের কথা নাহয় বাদই দিলাম

comments powered by Disqus