করোনাক্রান্তি

করোনাক্রান্তি

নির্দোষ কৌতুক:
-কখন গোটা বিশ্ব জুড়ে দুর্ভিক্ষ হবে?
-চীন দেশের লোকেরা যেদিন কাঠি ছেড়ে কাঁটাচামচ দিয়ে খেতে শুরু করবে।
[সোভিয়েতভস্কি কৌতুকভ, মাসুদ মাহমুদ]

মৃতের সংখ্যা পৌঁছে গেলো দুই ডিজিটে। ১ জন থেকে ১০ জন হতে যতোটুকু সময় লেগেছে, হিসেব বলে শতকের ঘর ছাড়াতে সময় তারচেয়ে কম নেবে। এরকমটাই হয়েছে চীন, ইতালী, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্রে…। ‍ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশে এর ব্যতিক্রম হবে না নিশ্চিত, বরঞ্চ অতিক্রম করে যেতে পারে হিসেবের দ্রুততা।

এখনো আমরা হিসেব রাখছি, কদিন পর হয়তো আর মনেও থাকবেনা। হঠাৎ প্রয়োজন পড়লে গুগল করে জেনে নেবো ‘আজ কতজন মরলো করোনায়’। যেভাবে সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু আর ধর্ষণের সংখ্যাগুলো আমাদের কাছে শুধুই নিছক সংখ্যা হয়ে গেছে, করোনারও সে হাল হবে। যতো শক্তিশালী ভাইরাসই হোক না কেন, আমাদের উদাসীনতা থেকে তার রেহাই নেই।

আমাদের উদাসীনতা হাটে মাঠে ঘাটে সর্বস্তরে, জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে। উদাসী হাওয়ার পথে পথে মুকুলের মতো আমরা ছড়িয়ে দিয়েছি ভাইরাসের অদৃশ্য বীজ। হঠাৎ নিরীহ মাটিতে কখনো জন্ম নেয়নি সচেতনতার ধান।

তবে ধান হয়েছে বেশ। বাংলার সবুজ প্রান্তর এখন ভরে আছে সোনালী ধানের যৌবনে। ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ার লুকোচুরি খেলা এবার সাঙ্গ হওয়ার পালা। রাশি রাশি ভারা ভারা ধান কাটার সময় এখন। কিন্তু করোনাময়ী মা যদি সবাইকে ঘরে বন্দী করে রাখে, তো সে ধান কাটবেটা কে?

বোরোধান কাটা, মাড়াই দেওয়া থেকে চাল বানিয়ে বাবুদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার যে বিপুল কর্মযজ্ঞ, তা এই করোনাকালে স্রেফ অসম্ভব। আর ব্যাপারটা এমন না যে তাকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে সপ্তাহ কি মাসের দেনায়। দুয়ারে প্রস্তুত বর্ষা, তলিয়ে দেবে একেবারে। তারপর আবার বুনতে হবে আমন। নইলে অঘ্রাণও মাটি হবে। পুরো প্রক্রিয়াটা ঠিকমতো না হলে শুধু যে ‘ফকিন্নী চাষার বাচ্চা’গুলো না খেয়ে থাকবে ব্যাপারটা তেমন না, বাবুরাও কাবু হতে বাধ্য। গোটা জাতির এক বছরের খাবার…

রাজশাহী চাপাই নবাবগঞ্জে আম আর লিচুর দুমাসের বাণিজ্যের আশায় সারাবছর পোহায় হাজার হাজার পরিবার। তরমুজের বাজারেও একই হাল। সবজি, ফল তো সকলই বিফল। সোনালী আঁশ পাটের আশও আর করা যাচ্ছে না মোটে। ডিম, দুধ ডাইনিং টেবিলে না, মাটিতে লুটোচ্ছে। পোলট্রির একদিন বয়সী মুরগীর বাচ্চাগুলো পুঁতে ফেলা হচ্ছে মাটিতে। এবছর বৈশাখ হয়নি, ইলিশগুলো বেঁচে গেছে। নদী ও সাগরে মাছ বাড়বে, এটাই একমাত্র আশার কথা। তবে ভাত না জোটায় মাছে-ভাতে বাঙালির খাদ্য মিলবে না।

গোটা দেশের কৃষি ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। আগামী এক বছর তিলে তিলে এর দায় শোধ করতে হবে। আমাকে আপনাকে তোকে তাকে সবাইকে। অসংখ্য প্রান্তিক শ্রমজীবী মানুষ শরণার্থী হয়ে ভাগ্যান্বেষনে শহরে আসবেন, গ্রামে রেখে আসবেন অভাবী পরিবারকে। সম্বল বলতে একটাই, পরিবারের সবার মুখে ভাত জোটানোর দায়।

একইভাবে যাঁরা পরিবারের সবার মুখে ভাত জোটানোর দায় কাঁধে নিয়ে একদা দেশ ছেড়েছিলো, তাঁদের অনেকেও ফিরে আসতে বাধ্য হবে। শহরে হঠাৎ করে বাড়বে অপরাধ প্রবণতা। আমরা কয়েকজনকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলবো, আর বেশিরভাগের হাতকড়া পরা ছবি দেখে ঘৃণা করবো! অথচ এই মানুষটার হাতেই হয়তো কিছুদিন আগে ফলতো সোনালী ফসল। হঠাৎ আয়নায় নিজেকে দেখে অস্বস্তি হবে আমাদের, মনে হবে আমিও দেখতে ঠিক ঐ লোকটির মতো। কিন্তু পরক্ষণেই নেটফ্লিক্স আমাদের ভুলিয়ে দেবে, বুজিয়ে দেবে সকল অস্বস্তি।

কিন্তু শহরের কী হাল? সত্যি বলতে দুই মাস বেকার থাকার মতো বিলাসী জীবন সারাদেশেই খুব বেশি লোকের নেই। বড়জোর লাখ খানেক। অসংখ্য মানুষ চাকুরি হারাবেন, অসংখ্য মানুষ বেতন পাবেন না, অসংখ্য মানুষ যোগ্যতার চেয়ে অর্ধেকেরও কম মূল্যে কর্পোরেটের ভাগারে বিক্রি হতে বাধ্য হবেন। গার্মেন্টস কর্মীদের কথা আর না-ই বললাম। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাস কারণে আগামী তিন মাসের মধ্যে বিশ্বে সাড়ে ১৯ কোটি মানুষ তাদের পূর্ণকালীন চাকরি হারাতে যাচ্ছেন। যার মধ্যে সাড়ে ১২ কোটি মানুষ বসবাস করেন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে। এ তো গেলো চাকরির বাজারের খবর। যাদের চাকরিই নেই? সাড়ে ১৯ কোটি চাকরিজীবীর আড়ালে কতো কোটি মানুষের ভাত জোটে?

কদিন পর ঈদ। যা বাংলাদেশের বাণিজ্যের একটা বড় খাত। মানুষ ফ্যাশন করবে কি করবে না সেটা বড় কথা না, টিভি দেখবে কি দেখবে না, সেটাও বড় কথা না। কথা হলো ঈদের এই বাণিজ্যে ঘাটতি পড়লে অসংখ্য মানুষই আসলে সারাবছর পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকবেন। বসুন্ধরা যমুনার বিশাল শোরুম থেকে পাড়া মহল্লার টেইলার্স পর্যন্ত। সিরাজগঞ্জের তাঁতী থেকে ফুটপাথের হকার পর্যন্ত। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো এমনিতেই ধ্বংশের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে, এবার কফিনে পেরেক ঠুকবে। মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার কর্মীকে আসলেই না খেয়ে থাকতে হবে, যা আবার লজ্জায় প্রকাশও করতে পারবে না। যতোই ধর্মীয় উৎসব ইত্যাদি বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি, বিলাসিতা ঠেকানোর কথাও বলি… তবু অস্বীকারের উপায় নেই যে দেশের মানুষের একটা বড় অংশ সারাবছর অপেক্ষা করে এই ঈদের বাণিজ্যের জন্য। এদের বেশিরভাগই বিপন্ন হয়ে যাবে এই ধকলে। করোনাকাল কেটে যাওয়ার পর এদের কী হলো না হলো তার খোঁজ আমরা কেউ রাখবো না।

অনলাইন বেইজড অসংখ্য ছোট বড় স্টার্টআপ স্রেফ ধ্বংশ হয়ে যাবে। অবস্থাটা আসলে প্রায় সব সেক্টরে একই। যদি না খুব দ্রুত আবার কাজে না ফেরা যায়, অর্থনীতির যে বেহাল দশা হবে তার দায় টানতে হবে গোটা একটা প্রজন্মকে।

তারপর কী হবে? জানা নেই। ‘হু’ জানিয়েছে অনাহারে মৃত্যু হতে পারে প্রায় তিন কোটি মানুষের।

এই অভাবের দেশে করোনার ভয় দেখিয়ে তাই মানুষকে মাসের পর মাস ঘরে আটকে রাখা সম্ভব না। জিডিপির দোহাই দিয়েও না, আল্লার ওয়াস্তেও না। যায় যাবে যাক প্রাণ, চলো ভাই কাটি ধান… বলে মানুষ করোনার ভয়কে পাশ কাটিয়ে নেমে আসবে কাজে। বাধ্য হবে। ঠেকানোর কোনো উপায় নেই। কিচ্ছু করার নাই। সুকান্ত কবির ভাষায় ”হয় ধান নয় প্রাণ- এ শব্দে সারা দেশ দিশাহারা, একবার মরে ভুলে গেছে আজ মৃত্যুর ভয় তারা”।

ওদিকে সপ্তাহের পর সপ্তাহ ঘরে বন্দী থেকে থেকে মানুষ অধৈর্য্যও হয়ে উঠেছে, অসহিষ্ণুও। অল্পতেই রিঅ্যাক্ট করছে, অপ্রয়োজনেই রেগে যাচ্ছে। বন্ধুতে বন্ধুতে ঝগড়া হচ্ছে, প্রেমিক প্রেমিকায় বিবাদ হচ্ছে, অযথাই। রেগে যে যাচ্ছে সে বোধটাও কাজ করছে না। কেউ কেউ ফেসবুকে আরো বেশি উত্তেজনা খুঁজছেন। কেউ গান শুনে, সিনেমা দেখে, বই পড়ে নির্বাণ লাভের চেষ্টায় আছেন। কিন্তু কাঁহাতক আর সহ্য করা যায় এই অসম্ভব স্থবিরতা? করোনাকাল পার হতে হতে কতো মানুষ মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারবে তার পরিসংখ্যান করা সম্ভব হবে না। কারন এগুলো প্রকাশ্য না। সম্ভবত দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষই আসলে মানসিক স্থিতি হারাবেন। তারচেয়ে দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে, এই যে মানসিক স্থিতি হারানোর ব্যাপারটা, এটা টের পাবেন খুব স্বল্প সংখ্যক মানুষ। বেশিরভাগ মানুষ টেরই পাবেন না। সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে এই যাতনা।

এখনো আমরা বেঁচেবর্তে থাকতে পারছি কারন আমাদের ঘরে ঘরে এখনো আলো, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ইন্টারনেট, ফোন নেটওয়ার্ক আছে। খাবার আছে। সিটি কর্পোরেশনের লোকেরা এখনো রাস্তা পরিষ্কার করে, প্রতিদিন ময়লা নিয়ে যায় বাড়ি বাড়ি থেকে। এখনো আমাদের নিরাপত্তার দায় কাঁধে নিয়ে ডিউটিতে আছে সশস্ত্র রক্ষীরা। অসুস্থ হলে চিকিৎসার এখনো কিছুটা আশা আছে। যদিও আমরা কেবল পুলিশ আর চিকিৎসককে ধন্যবাদ দিয়েই দায় মেটাচ্ছি। তবু টেপের কল খুললে জল পড়ছে ধন্যবাদহীন, ‍চুলো জ্বাললে আগুন জ্বলছে, তাও ধন্যবাদহীন। দেশটা এখনো দুর্গন্ধের ভাগাড় হয়ে ওঠেনি, তাও ধন্যবাদহীন। কিন্তু এই এতোকিছু থাকার পেছনে যে মানুষগুলো এখনো মৃত্যুভয় তুচ্ছ করে খেটে মরছেন, তারা কেউ যেহেতু সুপারম্যান না, তাই তারাও আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। আমাদের এই সুরক্ষাগুলোও হয়তো খুব দ্রুত ভেঙ্গে পড়বে। তখন কী হবে? জানা নেই।

এখনো আমরা প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে উন্মুখ হয়ে বসে থাকি একটি সংবাদ সম্মেলনের অপেক্ষায়। আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসবে মৃত আর আক্রান্তের সংখ্যার। গত এক মাসে ব্যাপারটি আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আমরা সংখ্যাগুলো শুনি, ফেসবুকে পোস্ট দেই, তারপর আবার ফিরে যাই নিজস্ব জীবনে। সংখ্যাগুলো আমাদের মননে কোনো প্রভাব ফেলে না।
আজ এই লেখাটা লেখতে লেখতেই জানলাম আইইডিসিআরের ৬ জন কর্মীই করোনায় আক্রান্ত, সেব্রিনা ফ্লোরাসহ সবাই কোয়ারেন্টাইনে। হায়… আমাদের আর শাড়ি নিয়ে ব্যাঙ্গ করারও কেউ রইলো না!

স্কুলগুলো বন্ধ, সবাইকে গণপাশ দিতে হবে এবছর, তাছাড়া উপায় নেই। এইচএসসি পরীক্ষা হয়নি, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। এ সেশন জট ছাড়াতে কতোদিন লাগে কে জানে!

মন্দা এলে সবাই যে বিপাকে পড়ে ব্যাপারটা তা না, কারো কারো হৃদয়ে মহানন্দাও বয়ে যায়। গ্রামে গ্রামে সুদের কারবারীরা ফাঁদ পাতবে, নোবেল আর নাইট পাওয়া এনজিওগুলো তো ’দানছত্র’ খুলে বসবে। ব্যাঙ্কও বাদ যাবে না।

নিঃস্ব মানুষ ধীরে ধীরে ঋণসর্বস্ব হবে। সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুর চেয়ে বাড়বে আত্মহত্যার খবর। এগুলো করোনার কাউন্টডাউনে আসবে না।

সরকারের অবস্থাটা অনেকটা জীবনানন্দ দাশ বর্ণিত সুবিনয় মুস্তফি নামের অদ্ভুত ভূঁয়োদর্শী যুবকটার মতো। একই সঙ্গে বেড়াল আর তার মুখে ধরা ইঁদুরকে খুশি রাখার দায় মাথায় নিয়ে তাকে চলতে হয়। তবে সঠিক সুবিনয় মুস্তফী হওয়া অতো সহজ ব্যাপার নয়।
আমাদের সরকার সর্বদাই জরিমানা দেওয়া মাইনে কিংবা মধ্যবিত্ত পরিবারের একমাত্র রোজগেরে কর্তার মতো… শত অসঙ্গতি তার। সবার অসন্তোষের দায় নিয়ে তবু চেষ্টা করে যেতে হয় কেবল। ভুল করে, ভুলের ফল ভোগ করে, গালি খায়, তবু চেষ্টা করে যেতে হয় শত অসুবিধার পরেও। করোনাকাল গেলে আমরা আবার মেতে উঠবো হাসি আনন্দে, বেড়াতে যাবো সাজেকে। চালের দাম বেড়ে গেলে সরকারকে গালি দেবো, অপরাধ বাড়লে পুলিশকে আর চিকিৎসকেরা… এরা তো পিশাচ, গালিরও অধম!

ক্রান্তিকাল গেলে আবার আমরা পরিবেশ ধ্বংশের উন্মত্ততায় মেতে উঠবো। ক’মাসের ’ক্ষতি’ পুষিয়ে নিতে পৃথিবীকে করবো ক্ষত বিক্ষত। কিন্তু এই বন্ধ সময়ে আমাদের ভেতর জন্ম নিয়েছে যে পারষ্পরিক অবিশ্বস্ততা আর দূরত্বের অভ্যাস… তা থেকে মুক্তি মিলবে?

তবু আমরা আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে। তারাপদ রায়ের কবিতাটিই বরং পড়া যাক…

”এই সেদিন পর্যন্ত ভেবেছি, সব ঠিক হয়ে যাবে।
কবে কখন কেমন করে, কি ভাবে ঠিক হবে,
এবং সত্যি সত্যি কি ঠিক হবে, এবং ঠিক না হলেই বা কি হবে,
সে বিষয়ে অবশ্য কোনো চিন্তা করিনি
কোনো ধারণাও ছিলো না।

শুধু কোথায় কেমন একটা আলগা বিশ্বাস ছিলো,
মনে মনে ধরে রেখেছিলাম,
একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।

আমলকি গাছের ভেতর থেকে কোনো কোনো রাতে
যে রকম ঝিরিঝিরি বাতাস ও বাতাসের শব্দ আসে,
যেভাবে লেবুপাতা ছিঁড়ে হাতে ঘষলে
এক হারিয়ে যাওয়া অরণ্যের গন্ধ ভেসে আসে,
যেভাবে ঘুলঘুলির এলোমেলো বাসায়
ডিমের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে
চড়ুইয়ের ছানারা তাদের মাকে চিঁ-চিঁ করে ডাকে,
যেভাবে ভুল ঠিকানার চিঠিও একদিন
কোথাও না কোথাও, কারো না কারো কাছে পৌঁছে যায়
যেভাবে…
একটা ক্ষীণ ভরসা ছিলো এই সেদিন পর্যন্ত,
যেভাবে এইসব ঘটে, এই সব ঘটে যায়
সেইভাবে একদিন সব ঠিকঠাক হবে।
আমার কিছু করণীয় নেই, শুধু বসে থাকার অপেক্ষা।”

পরিশেষে আরেকটি নির্দোষ কৌতুক:
লেফটেন্যান্টের নতুন বউ আব্দার করে বলছে স্বামীকে:
-ওগো, এমন একটা কিছু বলো, যেন শরীর মন উত্তেজিত হয়ে ওঠে।
-অ্যাটেনশান! -কম্যান্ড দেয়ার ভঙ্গিতে বললেন লেফটেন্যান্ট।
-তারচেয়ে বরং এমন কিছু বলো, যাতে রিল্যাক্সিং মুড আসে।
গলার স্বর বদলালেন না লেফটেন্যান্ট, বললেন:
-স্ট্যান্ড অ্যাট ঈজ!
[সোভিয়েতভস্কি কৌতুকভ, মাসুদ মাহমুদ]

{নজরুল সৈয়দ, ৩ বৈশাখ ১৪২৭}

ছবিচুরি

[১৬ এপ্রিল ২০২০ তারিখে ফেসবুকে প্রকাশিত]

comments powered by Disqus