বঙ্গবন্ধুর প্রথম জীবনীগ্রন্থ বিষয়ক বিভ্রান্তির নিরসন

বঙ্গবন্ধুর প্রথম জীবনীগ্রন্থ বিষয়ক বিভ্রান্তির নিরসন

১.

অনেকেই বলে থাকেন যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম জীবনীগ্রন্থটি হচ্ছে মযহারুল ইসলাম লিখিত বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’ বইটি। কেউ কেউ দাবী করেন এ বইয়ের পাণ্ডুলিপি সম্পাদনা বা প্রুফ দেখার কাজটিও বঙ্গবন্ধু করেছেন।

কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে মযহারুল ইসলাম রচিত বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’ বইটি তাঁর প্রথম জীবনীগ্রন্থ না। এর পান্ডুলিপি সম্পাদনা বা প্রুফ দেখে দেবার সুযোগ বঙ্গবন্ধু পেয়েছেন বলে মনে হয় না। এমনকি এই সুবিশাল গ্রন্থ তিনি প্রকাশের পরেও পুরোটা একবার পড়ে দেখার সময় এবং সুযোগ পেয়েছিলেন কি না সে ব্যাপারেও যথেস্ট সন্দেহ থেকে যায়।

প্রকৃত সত্য হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম জীবনীগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় মুক্তিযুদ্ধ বা বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ারও আগে, ১৯৭০ সালের জুন মাসে। বইটি প্রকাশিত হয়েছিলো ইংরেজি ভাষায়। লেখক ছিলেন কাজী আহমেদ কামাল। আর বইটির নাম ছিলো ‘Sheikh Mujibur Rahman: Man and Politician

২.

দেশভাগের আগে কাজী আহমেদ কামাল কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়তেন। পড়েছেন আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়েও। থাকতেন বেকার হোস্টেলে। শেখ মুজিবুর রহমানও তখন বেকার হোস্টেলেই থাকতেন, তিনি পড়তেন ইসলামিয়া কলেজে। দুজনেই তৎকালে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন। আর একই হোস্টেলে থাকা এবং ছাত্র রাজনীতির সুবাদে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে সেসময়। যদিও কাজী আহমেদ কামাল শেখ মুজিবুর রহমানের চেয়ে বয়সে কিছুটা ছোটো ছিলেন। তাঁর জন্ম ১৯২৪ সালে, বিক্রমপুরে।

ষাটের দশকে শেখ মুজিবুর রহমান যখন তারুণ্য ও বাঙালি জাতির প্রতীক হয়ে উঠছেন, তখনই কাজী আহমেদ কামাল তাঁর মধ্যে নেতার প্রতিচ্ছবি দেখতে পেলেন। তখন থেকেই তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী লেখার পরিকল্পনা করেন। তাঁর কাজ অনুসরণ করতে থাকেন, বিভিন্ন সময়ে বন্ধুত্বের সূত্রে টুকরো টুকরো করে শেখ মুজিবের সাক্ষাৎকার নিতে থাকেন এবং টুকে রাখতে থাকেন। সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে তিনি একটি জাতির উন্মেষ এবং তার প্রেক্ষিতে শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তাধারা বুঝতে চেষ্টা করেছিলেন এই জীবনীতে।

শেষ পর্যন্ত ১৯৭০ সালের জুন মাসে প্রকাশিত হয় কাজী আহমেদ কামাল রচিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম জীবনীগ্রন্থ ‘Sheikh Mujibur Rahman: Man and Politician’ বইটির একটি কপি লেখক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উপহার দিয়েছিলেন।

প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বইটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ কয়েকটি মুদ্রণ বিক্রি হয়ে যায়।

মুক্তিযুদ্ধের পর বইটি নতুন করে পরিমার্জন করেন লেখক। যুক্ত হয় নতুন দুটি অধ্যায়। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা যুক্ত হয় নতুন অধ্যায় দুটোতে। এ পর্যায়ে লেখক বইটির নাম পরিবর্তন করে রাখেন ‘Sheikh Mujibur Rahman and birth of Bangladesh' এ বইটিও বেশ জনপ্রিয় হয়।

সম্ভবত ৭৫ এর পর বইটি ধীরে ধীরে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যেতে থাকে। বইটির লেখক কাজী আহমেদ কামাল ১৯৭২ সাল থেকে ৭৪ সাল পর্যন্ত পূর্ব জার্মানীতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ১৯৫৩ সালে তিনি বিয়ে করেন লুলু বিলকিস বানুকে। ১৯৭১ সালে লন্ডনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে যে শক্তিশালী সংগঠন গড়ে উঠেছিলো বিচারপতি আবু সায়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে, লুলু বিলকিস বানু ছিলেন তার অন্যতম কাণ্ডারি এবং সংগঠক। ১৯৮৭ সালে মৃত্যু হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম জীবনীকার ব্যারিস্টার কাজী আহমেদ কামালের।

ইতোমধ্যে কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম জীবনীগ্রন্থের প্রায় সবগুলো কপি। লেখকের ভাই ব্যারিস্টার ও রাষ্ট্রদূত হারুন উর রশীদ কয়েকটি মাত্র কপি সংরক্ষণ করতে পারেন। যেগুলোও পোকায় কাটা, পৃষ্ঠাগুলো প্রায় নষ্ট হয়ে যাওয়া। সেই নষ্ট হয়ে যাওয়া বইগুলোর একটি তিনি পড়তে দেন রাজনীতিবিদ, গবেষক ও লেখক মোনায়েম সরকারকে।

মোনায়েম সরকার বইটি পড়ে উদ্যোগ নেন এর বাংলা সংস্করণ প্রকাশের। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অক্ষরপত্র প্রকাশনী থেকে হাসান খুরশীদ রুমীর অনুবাদে এবং নিলয় নন্দীর সার্বিক সমন্বয় ও সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় বঙ্গবন্ধুর প্রথম জীবনীগ্রন্থর বাংলা সংস্করণ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের জন্ম’। লেখক কাজী আহমেদ কামাল। পরবর্তীতে বইটির পরিমার্জিত সংস্করণ প্রকাশিত হয় পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি. থেকে। প্রচ্ছদ করেন রাজীব রাজু। বইটি বর্তমানে বাজারে সুলভ।

বইটির ইংরেজি সংস্করণও পাওয়া যায়, যা প্রকাশিত হয়েছে Academic Press and Publishers Librar থেকে।

৩.

মযহারুল ইসলামের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’ বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭৪ সালের ১৭ মার্চ তারিখে। বঙ্গবন্ধুর পঞ্চান্নতম জন্মদিবসে। মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলা একাডেমী (তখন এ বানানেই লেখা হতো) ও কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ড নামের দুটো প্রতিষ্ঠানকে একত্র করে গঠিত হয় ‘বাংলা একাডেমী’। যার দায়িত্ব দেওয়া হয় মযহারুল ইসলামকে। তখন থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবনী লিখতে শুরু করেন। অবশ্য যুদ্ধ চলাকালেই তিনি এই পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ১৭ মার্চ ১৯৭৪ তারিখে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বইটি প্রকাশিত হয়।

বইটির ভূমিকায় মযহারুল ইসলাম কোথাও দাবী করেননি যে এটাই বঙ্গবন্ধুর প্রথম জীবনীগ্রন্থ। বরঞ্চ লিখেছেন-

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্পর্কে এযাবৎ বেশ কিছু সংখ্যক গ্রন্থ লিখিত হয়েছে। কিন্তু সব গ্রন্থ নির্ভরশীল, একথা বলতে পারি না।

বইয়ের কোথাও তিনি এ দাবীও করেননি যে এ বইয়ের প্রুফ বা পাণ্ডুলিপি বঙ্গবন্ধু দেখেছেন। জীবনীটি কিভাবে লেখা হলো বইয়ের ভূমিকায় সে প্রক্রিয়া লেখা আছে-

আমি মূলত পত্র- পত্রিকা এবং বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত কিছু গ্রন্থ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছি। এছাড়া, বঙ্গবন্ধুর সাথে আমার সুদীর্ঘ ব্যক্তিগত পরিচয় আমাকে বিশেষভাবে সাহায্য করেছে। কঠোর ব্যস্ততার মধ্যেও বঙ্গবন্ধু আমাকে যে কয়েকটি অন্তরঙ্গ সাক্ষাৎকার দান করেছেন তার মূল্য এই গ্রন্থ রচনার পশ্চাতে অপরিসীম। মুজিব, তাঁর সুযোগ্যা পত্নী ও তাঁর কোন কোন বিশিষ্ট অনুরাগী আমাকে সাক্ষাৎকার দান করে বাধিত করেছেন।

৪.

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর এ বইটির যতোগুলো কপি বাংলা একাডেমীতে মজুদ ছিলো, সবগুলো পুড়িয়ে বা ধ্বংশ করে ফেলা হয়। মযহারুল ইসলামের হিসেব মতে তখন সেখানে বইটির প্রায় ৬/৭ হাজার কপি মজুদ ছিলো।

বইগুলো কেন এবং কিভাবে ধ্বংশ করা হলো তার কারন নির্ধারণের জন্য একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের দাবী জানানো হয়েছিলো পরবর্তীকালে। কিন্তু খুব স্বাভাবিকভাবেই সে দাবীতে কেউ কান দেয়নি। প্রায় দশ বছর পর মযহারুল ইসলাম যখন দিল্লীতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর সোসাল সায়েন্স রিসার্চ সেন্টারে উপাচার্যের মর্যাদায় সিনিয়র ফেলো হিসেবে কর্মরত ছিলেন, তখন বাংলা একাডেমীর পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে অনুরোধ করা হয় তিনি যেন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’ গ্রন্থটি পরিমার্জনা করে নতুন পাণ্ডুলিপি মুদ্রণের জন্য বাংলা একাডেমীতে জমা দেন।

ঠিক কোন সময়ে বা কোন বছরে বাংলা একাডেমি তাঁকে এই অনুরোধ করেছিলো তা তিনি উল্লেখ করেননি। তবে মযহারুল ইসলাম দিল্লীতে কর্মরত ছিলেন ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত। অর্থাৎ এই সময়কালের কোনো এক পর্যায়ে তাঁকে এই অনুরোধ করা হয়েছিলো।

যদিও ঠিক কার আমলে জীবনীগ্রন্থটির ছয় সাত হাজার কপি সমূলে ধ্বংশ করা হয়েছিলো বা কার আমলে তদন্তের দাবী উপেক্ষিত হয়েছে বা কার আমলে পরিমার্জিত সংস্করণ প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো সেগুলোর কোনোটাই নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবুও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমির প্রধান দায়িত্বে কারা ছিলেন তার একটা তালিকা সংরক্ষণ করা যেতে পারে। বাংলা একাডেমির ওয়েব সাইট থেকে তালিকাটি নেওয়া হলো-

বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পুনরায় অনুরোধপ্রাপ্ত হয়ে মযহারুল ইসলাম নতুন করে জীবনীগ্রন্থ পরিমার্জনে হাত দেন। দিল্লীর সাপ্রু লাইব্রেরী, ইতিহাস কাউন্সিলের লাইব্রেরী, রবীন্দ্রভবন গ্রন্থাগার ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর সোসাল সায়েন্স রিসার্চ লাইব্রেরী ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে কাজটি আরো সমৃদ্ধ হতে থাকে। তিন মাস কঠোর পরিশ্রম করে তিনি বইটির পরিমার্জন কাজ শেষ করে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। এসে আবারো কিছু নতুন তথ্য প্রাপ্তির ভিত্তিতে জীবনীগ্রন্থটি আবারো নতুন করে সাজাতে শুরু করেন। এ পর্যায়ে এই কর্মযজ্ঞে যুক্ত হন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সালাহউদ্দিন আহমদ। মযহারুল ইসলাম মোট ১৭ বার সালাহউদ্দিন আহমদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরিমার্জিত পুরো পান্ডুলিপি দুজনে মিলে পাঠ করেন এবং প্রয়োজনীয় সংশোধন করেন। শেষ পর্যন্ত তৈরি হয় পরিমার্জিত পাণ্ডুলিপির ফাইনাল কপি। যা বাংলা একাডেমিতে জমা দেওয়া হয়।

যেহেতু মযহারুল ইসলাম ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত দিল্লীতে কার্যরত ছিলেন, সেহেতু ধারণা করা যায় যে ড. আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দীন যখন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ছিলেন, সেই সময়েই বঙ্গবন্ধুর জীবনীগ্রন্থটির পরিমার্জিত সংস্করণ পুনঃপ্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই পরিমার্জিত সংস্করণটি পুনঃপ্রকাশে বাংলা একাডেমি গড়িমসি করতে থাকে। প্রকাশ আর হয় না। দ্বিতীয় পরিমার্জিত সংস্করণের ভূমিকায় মযহারুল ইসলাম লিখেছেন-

প্রত্যেক বছর বার্ষিক সাধারণ সভায় গ্রন্থটি প্রকাশের জন্য চাপ অব্যাহত থাকে, যার ফলে একাডেমীর নির্বাহী পরিষদ গ্রন্থটি অবিলম্বে প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মহাপরিচালক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সময় যাপন করতে থাকেন।

ফলে বাধ্য হয়ে লেখক একসময় পাণ্ডুলিপিটি বাংলা একাডেমি থেকে ফেরৎ নিয়ে নেন। ১৯৯৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে (বাংলা ১৩৯৯ সালের ফাল্গুন মাস) আগামী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয় মযহারুল ইসলাম রচিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীগ্রন্থ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’। বইটির প্রচ্ছদ করেন কাইয়ুম চৌধুরী। বর্তমানে এই বইটিও বাজারে সুলভ।

৫.

কাজী আহমেদ কামাল রচিত ’বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের জন্ম’ বইটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম জীবনীগ্রন্থ হলেও মযহারুল ইসলাম রচিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’ বইটি বেশি তথ্যবহুল এবং নির্ভরযোগ্য। বাজারে এখন বঙ্গবন্ধুর অসংখ্য জীবনী। নতুন পাঠক স্বভাবতই বিভ্রান্ত হন কোন জীবনীটি তিনি পাঠ করবেন! কোনটা রেখে কোনটা পড়বেন? কোথায় মিলবে সত্য বঙ্গবন্ধুর খোঁজ?

এক্ষেত্রে অবশ্যই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বঙ্গবন্ধুর লেখা ’অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং ’কারাগারের রোজনামচা’। আর পূর্ণাঙ্গ তথ্যবহুল জীবনীর জন্য অবশ্যই মযহারুল ইসলামের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’ বইটি গুরুত্বপূর্ণ। আর বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ও ভাবনা বুঝতে হলে অবশ্যই কাজী আহমেদ কামালের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের জন্ম’ বইটির কাছে আমাদের ফিরে যেতে হবে।

তথ্যসূত্র:

১. মযহারুল ইসলাম রচিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’ বইয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় সংস্করণের ভূমিকা। বর্ধিত ও পরিমার্জিত সংস্করণ। ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩। আগামী প্রকাশনী।

২. কাজী আহমেদ কামাল রচিত ও হাসান খুরশীদ রুমী অনুদিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের জন্ম’ বইয়ের মোনায়েম সরকার এবং হারুন উর রশীদ লিখিত মুখবন্ধ। মে ২০১৫ তারিখে প্রকাশিত দ্বিতীয় সংস্করণ। অক্ষরপত্র প্রকাশনী।

৩. নিলয় নন্দী। ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের জন্ম’ বইয়ের সার্বিক সমন্বয়ক ও সম্পাদক

comments powered by Disqus