মুক্তিযুদ্ধের দলিল 'বেজে ওঠে সাইরেন'

মুক্তিযুদ্ধের দলিল 'বেজে ওঠে সাইরেন'

ক.
১৯৭১ সাল। দেশজুড়ে যুদ্ধ চলছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী অবরোধ করে রেখেছে রাজধানী ঢাকা। অধিকাংশ মানুষ পালিয়ে গেছেন দেশের নানান প্রান্তে, কেউ আগরতলা কেউ পশ্চিমবঙ্গে। সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছেন ঢাকার দিকে। আর ক্র্যাক প্লাটুনের বিচ্ছুগুলো চোখের পলকে ঢাকায় অভিযান চালিয়ে কাঁপিয়ে দিচ্ছেন পাকিসেনাদের, জানান দিচ্ছেন বিশ্ববাসীকে।

অবরুদ্ধ ঢাকায় যখন একজন মানুষও যখন নিরাপদ না, বড় বড় মানুষগুলো পর্যন্ত ভয়ে পালিয়েছে, সেই শহরের একটি বাড়িতে একজন কিশোরী তাঁর ছোটভাই আর কিছু গৃহপালিত পশু নিয়ে একা থাকছেন! আকাশে বোমারু বিমান উড়ছে, সড়ক দিয়ে ধেয়ে যাচ্ছে সমরাস্ত্রবাহী গাড়ি, জাঁদরেল সৈন্য, চলছে গুলি! সেই বিভীষিকাময় শহরে একাদশবর্ষীয় বালিকা নিজের চেয়ে বেশি রাখছেন ছোটভাই আর পোষা বেড়ালটির খেয়াল। প্রায় ত্রিশ বছরের বড় বড়ভাই আসবেন বিকেলে, এর আগে আতঙ্কিতও হওয়া যাবে না, তিনিই যে অভিভাবক!

আনা ফ্রাঙ্ক এর কথা বিশ্ববাসী জানে, কিন্তু জানে না আমাদের মুক্তিযুদ্ধকালে এই অবরোধবাসিনী কিশোরীর কথা।

তিনি লায়লা আফরোজ, আবৃত্তিকার ও ব্যাংকার। যুদ্ধকালে যাঁর বয়স ছিলো এগারো বছর। এই অবরুদ্ধ শহরে থেকে তিনি প্রায়-কিশোরীর দৃষ্টিতে দেখেছেন মুক্তিযুদ্ধকে, সময়কে। সেই স্মৃতি নিয়ে অনেক বছর পরে লিখেছেন বই। গতবছর ডিসেম্বরে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছে বইটি ‘বেজে ওঠে সাইরেন’ নামে।

যুদ্ধের কথা অনেক বইয়েই পাওয়া যায়, মুক্তিযুদ্ধের তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ, পরিসংখ্যান এমনকি আত্মজীবনীও পাওয়া যায়। কিন্তু কৈশোরের দৃষ্টিতে ঐ সময়ের ঢাকা শহরের চিত্র এর আগে দেখা হয়নি। বেজে ওঠে সাইরেন সে সুযোগ দিলো। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যের তালিকায় এ এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।

শুধু ঢাকা শহর বা কিশোরীর দৃষ্টিতে মুক্তিযোদ্ধ দেখার অভিজ্ঞতার জন্য না, অন্য একটি কারনেও এ বইটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। লেখিকা লায়লা আফরোজের বড়ভাই তখন ছিলেন সোভিয়েত দূতাবাসের বাঙালি অফিসারদের মধ্যে সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ। ছোট দু'ভাই বোনকে এই অনিরাপদ যুদ্ধকবলিত শহরে একা রেখে তিনি ছুটে বেরিয়েছেন শহরের এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত। মুক্তিযুদ্ধের খবর সংগ্রহ করেছেন। আর প্রতিদিন রিপোর্ট পাঠিয়েছেন মস্কোতে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকা নতুন করে বলার কিছু নেই, সকলেই জানেন। এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার পেছনে অন্যতম অবদান রেখেছেন লেখিকার বড়ভাই এটিএম শামসুদ্দিন। বিশ্বের তৎকালীন অন্যতম পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়ন নেতৃত্ব মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জোড়ালো ভূমিকা পালন করেন, যার অন্যতম ভিত্তি ছিলো এটিএম শামসুদ্দিনের প্রতিদিনকার পাঠানো রিপোর্ট। সেই অভিজ্ঞতাগুলো আজতক মুক্তিযুদ্ধের কোনো ইতিহাসে স্থান পায়নি। বড়ভাই যাতে নিজ দায়িত্ব নির্দ্বিধায় এবং নিশ্চিন্তে পালন করতে পারেন, সেজন্য ছোট্ট একটি মেয়ের আত্মত্যাগের কথাও স্থান পায়নি কোথাও। ‘বেজে ওঠে সাইরেন’ তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সংযোজন।

৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন, মার্চের অসহযোগ আন্দোলন, ৭ মার্চের ভাষণ, ২৫ মার্চ কালরাত থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় তিনি তুলে ধরেছেন তাঁর বইতে। শুধু আন্দোলন সংগ্রাম আর যুদ্ধের কথা না, তাঁর লেখনীতে উঠে এসেছে তৎকালীন ঢাকা শহরের একটি চিত্র। ঢাকার মানুষের চিত্র। সামাজিক অর্থনৈতিক চিত্র। মুক্তিযুদ্ধের ডকুমেন্টেশনে যেগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ।

যুদ্ধের আগে মা-সহ পরিবারের অন্যরা চট্টগ্রামে যান, যুদ্ধ শুরু হলে আর ফিরতে পারেন না ঢাকায়। অন্য অনেকের মতো ছোট দু ভাইবোনকে নিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে পারতেন এটিএম শামসুদ্দিন, কিন্তু এই মুক্তিযুদ্ধে তাঁকে যে পালন করতে হবে গুরুত্বপূর্ণ এক নিরব ভূমিকা! তাই তিনি নিজের প্রাণের মায়া তুচ্ছ করে, আপন ছোট ভাই বোনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়েও রয়ে যান এই বিপদসংকুল ঢাকায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পালন করে যেতে থাকেন নিজ দায়িত্ব। এমনকি একবারের জন্যও চট্টগ্রামে গিয়ে নিজের মায়ের খবরও নেননি। এই শহরে থেকে করে গেছেন ভিন্ন এক যুদ্ধ। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চোখ এড়ায়নি, তাঁকে বাড়ি বদলাতে হয়েছে, তবু তিনি খুব সহজে ঢাকা ছেড়ে যাননি। এমনকি এক পর্যায়ে ছোট দু'ভাইবোনকে নিয়ে উঠেছেন সোভিয়েত দূতাবাসের তথ্যকেন্দ্রে। যুদ্ধের একেবারে শেষ পর্যায়ে যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন হয়ে গেলো পাকিস্তানের অন্যতম শত্রু, তখন আর সেই দূতাবাসও নিরাপদ না। তাই যুদ্ধের একেবারে শেষ পর্যায়ে, বিজয়ের প্রান্তে তিনি ঢাকা ছাড়েন। ততোদিনে তিনি যতটুকু সর্বনাষ করা সম্ভব পাকিস্তান বাহিনীর, তা করে ফেলেছেন। প্রতিদিন তাদের কীর্তিকলাপের রিপোর্ট পাঠিয়েছেন মস্কোতে। সোভিয়েত ইউনিয়ন এখন জড়িয়ে গেছে এই কূটনীতির যুদ্ধে, বাংলাদেশের পক্ষে রাখছে জোরালো ভূমিকা। শামসুদ্দীন এবার তাই নিজের আর ভাই বোনের কথা একটু ভাবতেই পারেন।

যুদ্ধশেষে তবু চট্টগ্রামে নিজের পরিবারে না ফিরে, ফিরে আসেন ঢাকায়। এখন যে পালন করতে হবে নতুন সব দায়িত্ব! যুদ্ধের পরে ধানমন্ডির বাড়িটি হয়ে ওঠে আশ্রয় শিবিরের মতো। বিশেষ করে ৭৫ সালের দুর্ভিক্ষে! তবু এটিএম শামসুদ্দিন নিজের দায়িত্ব পালন করে যান, অবিরত থাকে তাঁর সহযোগিতা আর মানবিকতার হাত। আর এই অল্প সময়েই একজন কিশোরীকে দেখি সম্পূর্ণ মানুষ হয়ে উঠতে। চিন্তায়, মননে। ৬৫ থেকে ৭৫ সময়কালের ঢাকা শহর, বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়টির গল্প লায়লা আফরোজ আমাদেরকে বলে যান সাবলীল ভাষায়।

যুদ্ধের শুরুতে প্রতিবেশী অনেকে ছোট ছোট কিছু পোটলা এটিএম শামসুদ্দিনের কাছে গচ্ছিত রেখে গিয়েছিলেন। যুদ্ধের পুরোটা সময় লায়লা আফরোজ তাঁর কিশোরী হাতের মুঠোয় আগলে রেখেছেন এই বোঝা। বইবার শক্তি যখন শেষ, ক্ষুধায় কাতর, তবু তিনি আগলে রেখেছেন এই বোঝা! পুরো নয়টা মাস! যুদ্ধশেষে প্রতিবেশীরা ফিরলে তাঁদের সকলকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় এই পোটলাগুলো, যার ভেতরে ছিলো অসংখ্য সোনা-দানা! ঠিক তেমনি নিজের কিশোরী মনে আগলে রেখেছেন একটি ইতিহাসকে। যা অনেক অনেক বছর পর আমাদের সামনে উন্মুক্ত করে দিলেন একেবারে দিন-তারিখসহ। যা প্রয়োজন ছিলো ভীষণ।

খ.
ছোটবেলায় সেবা প্রকাশনীর বইয়ের বিশেষ ভক্ত ছিলাম। গোগ্রাসে গিলতাম সব বই। আর এর লেখকদেরকে মনে হতো ভিনগ্রহের বাসিন্দা। কাজীদা, রওশন জামিল, নিয়াজ মোর্শেদ, রকিব হাসান, মাসুদ মাহমুদ প্রভৃতি লেখকেরা তখন আমাদের কাছে হিরো। সেবা'র অন্যতম প্রিয় বই ছিলো একটি অনুবাদ বই। জেরোম কে জেরোম এর ‘থ্রি ম্যান ইন অ্যা বোট’ অবলম্বনে ‘ত্রিরত্নের নৌবিহার’। এই বড়বেলাতেও এখনো কেউ যদি কোনো বই পড়ার সাজেশন চায়, আমি নির্দ্বিধায় যে কয়টি বইয়ের নাম বলি তার মধ্যে এই বইটি থাকে। মূল বই পড়া হয়নি, অন্য কোনো অনুবাদ পড়ার সাহসও করিনি। কারণ ‘ত্রিরত্নের নৌবিহার’এর প্রাঞ্জল অনুবাদের পর আর কিছু পড়তে হয় না, এমনকি মূল বইও পড়ার দরকার নেই। এই বইটির অনুবাদ করেছিলেন এটিএম শামসুদ্দিন। এছাড়াও ক্যারি অন জীভস, আয়রন মিস্ট্রেস, কাউন্ট অফ মন্টিক্রিস্টো প্রভৃতি প্রিয় বইগুলোর অনুবাদকও এই মানুষটি। আর সেই বটমূলের আড্ডাকাহিনী কি ভোলা যায়?

পরবর্তীকালে সেবা'র অনেক লেখকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, চিনেছি তাঁদের। স্বয়ং কাজীদার সাথে আড্ডা মেরেছি, মাসুদ মাহমুদকে তো সচলায়তনেই পেয়েছি, রওশন জামিল তো ফেসবুকেই সক্রিয়। কিন্তু চেনা হয়নি প্রিয় অনুবাদক এটিএম শামসুদ্দীনকে। কিছুই জানা ছিলো না তাঁর সম্পর্কে। লায়লা আফরোজের ‘বেজে ওঠে সাইরেন’ পড়ে আমি নতুন করে চিনলাম প্রিয় অনুবাদককে! যাঁর শুধু অনুবাদে মুগ্ধতা ছিলো, সেই মুগ্ধতা আকাশ ছাড়িয়ে গেলো মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবিস্মরণীয় অবদান আর মানবিক কীর্তিকলাপের কারনে! নতুন করে চিনলাম দেশপ্রেম এবং রাজনৈতিক চেতনায় আমৃত্যু সংগ্রাম করে যাওয়া এটিএম শামসুদ্দীনকে!

ছাত্রজীবন থেকেই যিনি রাজনীতিতে জড়িয়েছিলেন! শ্রমিক আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীকার আন্দোলনসহ সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানের কথা জেনে ছোটবেলার প্রিয় অনুবাদককে আজ আবিষ্কার করলাম নতুন এক উচ্চতায়। পাকিস্তান সরকার তাঁর নামে হুলিয়া জারি করেছিলো, মাথার দাম ঘোষণা করেছিলো ৭ হাজার রুপি, সেই হুলিয়া নিয়ে ৭ বছর আত্মগোপনে ছিলেন! পরবর্তীকালে সাংবাদিক হিসেবে বাংলাদেশে নেতৃত্ব পর্যায়ে ছিলেন। ইত্তেফাক, সংবাদের ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি। পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। তবু পার্টির নির্দেশে এবং কমরেড মনি সিং-এর অনুরোধে সাংবাদিকতার সমৃদ্ধ জগৎ ছেড়ে তিনি যোগ দিয়েছিলেন ঢাকাস্থ সোভিয়েত দূতাবাসের তথ্যকেন্দ্রে। গোপন মিশনে। ১৯৬৭ থেকে ১৯৮৮ সালের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে (বাংলাদেশ এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন দুই ক্ষেত্রেই) তিনি ছিলেন সোভিয়েত দূতাবাসের তথ্যকেন্দ্রে বাঙালিদের প্রধান। দীর্ঘ সময় সম্পাদনা করেছেন ‘উদয়ন’। যদিও তাঁর এই আত্মত্যাগ পার্টি মনে রাখেনি। শেষ বয়সে নিভৃতেই তাঁকে রোগ সহ্য করে যেতে হয়েছে একাকী।

ছোটবেলায় যাঁদেরকে দেবতুল্য হিরো মানতাম, বড় হতে হতে অনেকের ক্ষেত্রেই কেটে গেছে সেই মুগ্ধতা। নিজ দায়িত্বেই তারা প্রকাশ করেছেন নিজেদের কদর্য রূপ। এসব দেখে দেখে আমাদের মুগ্ধ হওয়ার সাহস হারিয়ে গেছে। ব্যাক্তির প্রতি এখন আর মুগ্ধ হতে পারি না। কিন্তু এটিএম শামসুদ্দিনের বেলায় হলো উল্টো। কৈশোরে যিনি ছিলেন শুধুই একজন প্রিয় অনুবাদক, এই প্রায় বৃদ্ধ বয়সে তাঁর জীবনের অনেকটা জেনে আজকের সকালটা ভরে উঠলো মুগ্ধতায়।

এটিএম শামসুদ্দীন, আপনাকে গভীর শ্রদ্ধা।

গ.
একটু বড় হতে হতে যখন এখানে ওখানে আড্ডা মারি, বই নিয়ে লেখক নিয়ে আড্ডা হয়, তখন আরেকজন মানুষের প্রতি প্রবল কৌতুহল তৈরি হয়েছিলো। সিনিয়রদের কাছে তাঁর ভয়ঙ্কর বোহেমিয়ান জীবন আর অগাধ পাণ্ডিত্যের গল্প শুনতাম রূপকথার মতো। তাঁর এতোটাই পাণ্ডিত্য ছিলো যে সমসাময়িক সকলে মিলে তাঁর নাম দিয়েছিলেন ‘প্রভু’, যিনি সবকিছু জানেন! প্রগতি রাদুগার অনুবাদক খালেদ চৌধুরী প্রভুর প্রতি আমার একসময় ছিলো অসামান্য কৌতুহল। আরো অনেক জানার ইচ্ছে ছিলো তাঁর সম্পর্কে। আমাদের প্রিয় দুই সচলের পিতা তিনি, জানতে পেরেছিলাম পরবর্তীতে। সেই খালেদ চৌধুরী ছিলেন এটিএম শামসুদ্দীনের প্রিয় বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধ এবং পূর্বাপর তাঁর অনেক কথাও এই বইতে উঠে এসেছে। আমার কৌতুহলও কিছুটা মিটলো।

ঘ.
বই: বেজে ওঠে সাইরেন
লেখক: লায়লা আফরোজ
প্রচ্ছদ: সব্যসাচী হাজরা
প্রথম প্রকাশ: অগ্রহায়ণ ১৪২৪/ডিসেম্বর ২০১৭
প্রকাশক: বাংলা একাডেমি (সংস্কৃতি, পত্রিকা ও মিলনায়তন বিভাগ)
পৃষ্ঠাসংখ্যা: ১৬০
ISBN: 984-07-5696-6
মূল্য: ৩০০ টাকা

[০২ মার্চ ২০১৮ তারিখে সচলায়তনে প্রকাশিত]

comments powered by Disqus